কিশোরগঞ্জের ইটনায় ধনু নদীতে নিখোঁজের চারদিন পর সোমবার সন্ধ্যায় হৃদয় নামের এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
হৃদয় হবিগঞ্জের যাত্রা বড়বাড়ি এলাকার আব্দুল আউয়ালের ছেলে। তিনি লঞ্চের লস্কর বা লঞ্চের সিঁড়ি উঠা-নামানোর কাজ করতেন।
ইটনা থানার উপপরিদর্শক শামসুল হাবিব জানান, গত ২৯ ডিসেম্বর এমভি শামীম নামের একটি লঞ্চ ভৈরব থেকে সুনামগঞ্জের সাচনা যাচ্ছিল। পরের দিন ৩০ ডিসেম্বর ইটনা উপজেলার এলংজুরি বাজারের সামনে গিয়ে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। ইঞ্জিন মেরামত করে ১ জানুয়ারি সকালে লঞ্চটি ভৈরব ফেরার পথে এলংজুরি বাজারের শ্মশানঘাটের কাছে পা পিছলে ধনু নদীতে পড়ে যায় হৃদয়। অনেক খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি লঞ্চের লোকজন।
কিশোরগঞ্জের ইটনার ধনু নদীতে নিখোঁজের চারদিন পর উদ্ধার হৃদয়ের মরদেহ
সোমবার দুপুর থেকে ইটনা থানার উপপরিদর্শক শামসুল হাবিব ও ইটনা নৌপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয় জেলেদেরকে নদীতে নামিয়ে মরদেহ খুঁজতে থাকে। সন্ধ্যায় জেলেদের জালে হৃদয়ের মরদেহ উঠে আসে।
মরদেহ উদ্ধারের পর হৃদয়ের বাবা আব্দুল আওয়াল বিলাপ করেন, ‘আমার চার ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে হৃদয় সবার বড়। হৃদয়ের উপার্জনেই সংসার চলত। হৃদয়কে হারিয়ে আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে।
‘নিখোঁজের দিন থেকেই আমি নদীর পারে ঘুরি। ছেলের সন্ধান করি। কোন সন্ধান পাইনি। আজ তার লাশ পেলাম।’